রাশিদুল ইসলাম: [২] যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত দুটি রাজ্যে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস। দলীয় প্রার্থী হিসেবে তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন। সূত্র: সিএনএন/বিবিসি

[৩] রিপাবলিকান প্রার্থী বাছাইয়ে আজ মঙ্গলবার নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যে ভোট (প্রাইমারি) অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান ডিস্যান্টিস। এর আগে সেখানে একক সংখ্যার ভোট পেয়েছিলেন তিনি।

[৪] প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ট্রাম্পের সামনে সবচেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনা করা হচ্ছিল ডিস্যান্টিসকে। রোববার ডিস্যান্টিস বলেন, বিজয়ী হওয়ার কোনো সুস্পষ্ট পথ দেখছেন না তিনি। ডিস্যান্টিস এক্সে পাঁচ মিনিটের একটি ভিডিও পোস্ট করে সাত মাস ধরে চলা প্রচারের ইতি টানার ঘোষণা দেন। এতে তিনি বলেন, মাঠ ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

[৫] ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ফ্লোরিডার গভর্নর বলেন, আইওয়া রাজ্যে  প্রাইমারিতে ট্রাম্প ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন। এটা স্পষ্ট যে রিপাবলিকানদের বেশির ভাগ ট্রাম্পকে আরেকটি সুযোগ দিতে চান।

[৬] ডিস্যান্টিস সরে যাওয়ায় এখন ট্রাম্পের সামনে সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী তারই প্রশাসনের কর্মকর্তা নিকি হ্যালি। নিকি বলেছেন, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনকে টক্কর দেওয়ার মতো একজনই রয়েছেন, আর সেটা তিনি।

[৭] যদিও বিশ্লেষকেরা বলছেন, নিউ হ্যাম্পশায়ারের প্রাইমারিতে চমকে দেওয়ার মতো কোনো ফল না পেলে হ্যালির প্রার্থী হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যে তৈরি অনিশ্চয়তা আরও জোরালো হতে পারে।

[৮] ৪৪ বছর বয়সী ডিস্যান্টিসকে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের উদীয়মান একজন নেতা বিবেচনা করা হয়। ডিস্যান্টিস করোনা মহামারির সময় টিকা ও মাস্ক পরার বিরুদ্ধে ছিলেন। এ ছাড়া তিনি রক্ষণশীল নীতির সমর্থন দিয়েছেন। ১৫ সপ্তাহের পর গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার একটি আইনও অনুমোদন করেছিলেন তিনি।

[৯] এর আগে আইওয়া ককাসে সর্বশেষ চার প্রার্থীর মধ্যে চতুর্থ হন বায়োটেক বিষয়ক উদ্যোক্তা বিবেক রামাস্বামী। তারপর তিনি এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান। সমর্থন দেন ট্রাম্পকে। নিউ হ্যাম্পশায়ারে এবার প্রথম রিপাবলিকান প্রাইমারি নির্বাচনের ঠিক আগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ালেন ডিস্যান্তিস। তিনিও সমর্থন দিয়েছেন ট্রাম্পকে। ফলে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে এখন টিকে রইলেন মাত্র দু’জন। তারা হলেন ট্রাম্প এবং নিকি হ্যালি।  

[১০] নিউ হ্যাম্পশায়ারে প্রাইমারি নির্বাচনের আগে জনমত জরিপে ডিস্যান্তিসের জনপ্রিয়তা ছিল এক অংকে। তিনি বলেন, অনেক কিছুই এখনও করতে পারতাম। প্রচারণা চালাতে পারতাম। সাক্ষাৎকার দিতে পারতাম। অনেক কিছুই করতে পারতাম। ৭ মাসের প্রচারণার ইতি টেনে ফ্লোরিডার এই গভর্নর বলেন, তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন দিচ্ছেন। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ

[১১] ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধের কথা স্বীকার করেন ডিস্যান্তিস। এও বলেছেন, জো বাইডেনের চেয়ে সেরা ট্রাম্প। নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্রেট দল থেকে জো বাইডেনই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, এটা একরকম নিশ্চিত।

[১২] ডিস্যান্তিসের সরে যাওয়ার ঘোষণা ট্রাম্প তার সমর্থকদের জানালে তাদের মধ্যে উল্লাস শুরু হয়ে যায়। এক র‌্যালিতে ট্রাম্প ডিস্যান্তিসকে ভয়ানক ব্যক্তি হিসেবে অভিহিত করে বলেন, তিনি ভাল প্রচারণা চালিয়েছেন। এটা সহজ কাজ ছিল না। 

[১৩] ডিস্যান্তিস এমন একজন রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছিলেন, যিনি ট্রাম্পের জনপ্রিয় এজেন্ডাগুলোকে কোনো ভনিতা না করেই বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতেন।